বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমরা খেলা করি না: খন্দকার মোশাররফ

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৫৭

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন খেলার কথা। আমরা বলি রাজনীতি আর খেলা এক না। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। খেলা করি না।’

রাজনীতির মাঠে আলোচিত শব্দ ‘খেলা’ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তারা খেলা করেন না, রাজনীতি করেন।

শনিবার কুমিল্লার টাউন হলে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন খেলার কথা। আমরা বলি রাজনীতি আর খেলা এক নয়। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। খেলা করি না।

‘এই ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আমরা সেই গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছি।’

‘খেলা হবে’ শব্দ দুটির ব্যবহার শুরু করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকেই ব্যবহার করেছেন ওই স্লোগান। দেশের সীমানা পেরিয়ে এই স্লোগান পৌঁছে গেছে ভারতেও।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্দোষ। বিনা কারণে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। এতিমের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে সরকার, সেই টাকা ব্যাংকে আছে। দুই কোটি টাকা আজ ১০ কোটি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আজ মানুষ দিশাহারা। সাধারণ মানুষের চাওয়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে যাওয়া। এসব অধিকার আদায়ে আমাদের গণসমাবেশের আয়োজন।

‘দেশে আয়োজিত আমাদের সমাবেশে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। যদি এই সরকার নিজ থেকে ক্ষমতা না ছেড়ে দেয় তাহলে জনগণ তাদের টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কুমিল্লার সমাবেশ যেন সফল না হয়, সে জন্য নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী হুমকি দিচ্ছে। কৌশলে পরিবহন বন্ধ করা হচ্ছে। পথে পথে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব হয়রানিকে উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে কুমিল্লায় এসে পৌঁছেছেন বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শনিবারের সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ। সমাবেশ সফল হবে। কোনো অপশক্তি সমাবেশকে ব্যর্থ করতে পারবে না।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন বলেন, ‘সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হবে। বিকেল ৪টার মধ্যেই শেষ হবে। ইতোমধ্যে নেতা-কর্মীরা এসে গেছেন। শুক্রবার রাতের আগে সবাই চলে আসবেন।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারি আবু ও সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ দলটির শতাধিক নেতা-কর্মী।

এ বিভাগের আরো খবর