নওগাঁর নিয়ামতপুরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের খাদ্যগুদামের সামনে পোস্ট অফিসসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব রকি, বালাহৈর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে সিরাজ উদ্দিন নিশান, একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তোফায়েল আহমেদ, সাঙ্গইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওসমান গনি। এদের বয়স ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনটি মোটরসাইকেল করে ৯ জন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পোস্ট অফিসের সামনের সড়কে দুটি ককটেল ছুড়ে দ্রুত চলে যায়। সেখানে থাকা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ককটেল বিস্ফোরণে ৪ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুজ্জামান বলেন, 'ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো ওই যুবকদের পেছনে ধাওয়া করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।'
ককটেল বিস্ফোরণে আহত সিরাজ উদ্দিন নিশান বলেন, ‘বিশ্বকাপের খেলা দেখার উদ্দেশ্যে তিনমাথা মোড়ে যাওয়ার পথে খাদ্যগুদামের সামনে পোস্ট অফিস সংলগ্ন রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা বুঝতে পারছি না। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠিন শাস্তির দাবি করছি।'
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার গোলাম রাব্বানী বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঠিক কী কারণে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হলো, কারা এর সঙ্গে জড়িত, সার্বিক বিষয় আমরা তদন্ত করছি। জড়িদের আটকের চেষ্টা চলছে।'