কক্সবাজার বিমানবন্দরে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়া এক ব্যাক্তির ব্যাগে ৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। টাকার উৎস ও নথি চাওয়া হলে তিনি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিউল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তিকে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
রবিউল আদালত পুলিশের এএসআই বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
রবিউলকে নিজেদের সদস্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আদালত পুলিশ পরিদর্শক সারোয়ার আলম।
বিমানবন্দরের স্ক্যানারের দায়িত্বে থাকা বাহার খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এক যাত্রীর ব্যাগ স্ক্যানারে দেয়া হয়। সেখানে ৫ লাখ টাকা দেখা যায়। তার কাছে এ টাকার উৎস বা বৈধ কাগজপত্র চাওয়া হয়।
‘তাকে আমরা দায়িত্বরত এপিবিএনের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিই। তখন তিনি নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে আমাকে ১ লাখ টাকা ঘুষ অফার করেন। টাকাগুলোর কোনো উৎস তিনি দেখাতে না পারায় তাকে এপিবিএনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বাকি ব্যবস্থা তারা করবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব অবৈধ কিছু গেলে তা আটকানো। টাকার ক্ষেত্রে আমরা নিজেরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাই এপিবিএনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।’
রবিউলকে নিজেদের সদস্য জানিয়ে আদালত পুলিশ পরিদর্শক সারোয়ার আলম বলেন, ‘রবিউলকে কেন আটক করা হয়েছে তা আমি এখনও জানতে পারিনি। বিস্তারিত জেনে জানাব।’