ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
মুখ্য বিচারিক হাকিম সামিউল আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়নের বাবা রহমত উল্লাহর করা ওই আবেদন খারিজ করেছেন।
জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার ওই আবেদনে নয়ন হত্যায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ দে, উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন খান, এসআই বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও কনস্টেবল শফিকুল।
এর মধ্যে কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে প্রধান অভিযুক্ত বলা হয়েছিল।
নয়নের বাবা আবেদনে অভিযোগ করেন, গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলা করে। সে সময় নেতা-কর্মীরা কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। কনস্টেবল বিশ্বজিৎ নেতা-কর্মীদের দিকে গুলি চালালে ছাত্রদল নেতা নয়ন গুলিবদ্ধ হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নয়ন উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।
উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় লোকজন জানান, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরে প্রচারপত্র বিলি করেন। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে মোল্লা বাড়ি থেকে তারা মিছিল বের করেন।
সেখানে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমের নেতৃত্বে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ এ সময় সায়েদুজ্জামানকে আটক করতে যায়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় ছাত্রদল নেতা নয়ন গুলিবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম বলেন, বিকেলে বিএনপির এক শ থেকে দেড় শ নেতা-কর্মী আকস্মিক মিছিল নিয়ে থানার সামনে জড়ো হয়ে পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করেন। সেখানে টহল দলের দুই কনস্টেবলের কাছ থেকে তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কনস্টেবল এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।