আওয়ামী লীগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবক লীগের কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন সংগঠনের জেলা কমিটির নেতারা। তাদের অভিযোগ, টাকা নিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শাহজাহান বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত পন্থায় অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এছাড়াও একটি বিশেষ মহলের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দলে অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই জেলার সুনাম ও রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহলের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এজন্যই তৃণমূল ও জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় না করে ২৬ নভেম্বর হোসেনপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে।’
সেদিন সম্মেলন স্থগিত করা না হলে পরদিন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে হোসেনপুর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য জাকির হোসেন কিরণের ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।
পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য সেলিম মাহমুদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে সাংগঠনিক নিয়মনীতি মেনেই ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার বকুল, তাসনীম সামজাদী বাপ্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার রনি, প্রচার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নিলয় উপস্থিত ছিলেন।
হোসেনপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হাকিম তানিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সুমন, বিল্লাল হোসেন, রবিন খান, সোহেল রানা দয়াল, আবু রায়হান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।