বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামের দুই পরিবহন মালিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৪১

‘হানিফ’ নাম নিয়ে করা দুটি পরিবহন কোম্পানির বিরোধের একপর্যায়ে আদালতের ভুয়া আদেশ তৈরি করা হয়। আদালত দুই মালিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি সঙ্গে ভুয়া আদেশ তৈরির ঘটনা তদন্ত করতে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়।

উচ্চ আদালতের ভুয়া আদেশ তৈরির ঘটনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুটি পরিবহন কোম্পানির দুই মালিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। এরা হলেন হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি পরিবহন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরেকটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল ইসলাম।

একই সঙ্গে ভুয়া আদেশ তৈরির ঘটনা তদন্ত করতে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে আইনজীবী একরামুল হকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বজলুর রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান। এ সময় ঢাকা হানিফ এন্টারপ্রাইজের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজাও উপস্থিত ছিলেন।

উচ্চ আদালতের ভুয়া আদেশ তৈরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে চারজনকে ১৪ নভেম্বর তলব করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ২৪ নভেম্বর তাদের হাজির হতে বলা হয়। আদালতের আদেশে তারা সবাই বৃহস্পতিবার হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু ভুয়া আদেশ তৈরির কথা কেউ স্বীকার করেননি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হলেন মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। আর হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি হলেন আনিসুল ইসলাম। পরিবহন ব্যবসায় জড়িত এই দুই কোম্পানি ‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এই ‘হানিফ’ এর ট্রেডমার্ক নং: ১৭৪৬৭।

গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের দুই বিচারপতির নাম উল্লেখ করে একটি জাল আদেশ প্রস্তুত করা হয়। ওই জাল আদেশের রিট আবেদনের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে ১৫৩২১/২০২২। রিট আবেদনকারী হলেন হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেড। বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বাণিজ্যসচিব, শিল্পসচিব, প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি আনিসুল ইসলামকে। আদেশে ওই বেঞ্চের সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা বেশ কয়েক বছর আগেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নামের বানানও ভুল লেখা হয়েছে।

জাল আদেশে বলা হয়, হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেড যেন ‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক তার পরিবহনে ব্যবহার করতে না পারে, সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। গত ১৬ অক্টোবর হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের করা আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে জাল আদেশে।

জাল আদেশের একটি ফটোকপি ওই বেঞ্চের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামানের কাছে আসে। এরপরই জালিয়াতির বিষয়টি বেঞ্চের নজরে আনেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর