কারাগার থেকে ঢাকার বিচারিক আদালতে হাজিরা দিতে আসা ১২ জঙ্গির মধ্যে আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামসকে ছিনিয়ে নেয়াই অপারেশন দলের মূল লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাহিনীটির ভাষ্য, ছিনতাই পরিকল্পনা সমন্বয় করেছেন ২০১৭ সাল থেকে জামিনে থাকা জঙ্গি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে বুধবার অমিকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, আদালতে হাজিরা দিতে আসা জঙ্গিদের হাতে কিছু টাকাও তুলে দিয়েছিলেন অমি।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব গত ২০ নভেম্বর দুপুরে পুলিশের চোখ-মুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যান।
আদালত এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের এ দুই সদস্যকে ছিনতাইয়ের মামলাটি তদন্ত করছে সিটিটিসি।
জঙ্গি ছিনতাই নিয়ে সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘প্রথম দফায় আদালত থেকে বেরিয়ে আসা চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিতে চাইলেও দুই জঙ্গি আরাফাত রহমান ও আবদুস সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি জঙ্গিরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অমিকে গ্রেপ্তারের পর আজ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।’
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর আমিনবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন আরাফাত। তিনি আনসার আল ইসলামের অপারেশন শাখার সদস্য।
বাহিনীর ভাষ্য, আরাফাত পলাতক জঙ্গি নেতা মেজর জিয়ার বিশ্বস্ত। এ কারণে তাকে ছিনিয়ে নেয়াই মূল লক্ষ্য ছিল।