পঞ্চগড় সদরে এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে পর্চা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার খন্দকর তানবীরুল আলম ও চেইনম্যান আনন্দ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে বুধবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলার হলধর এলাকার আবু হাসেম।
অভিযোগে তিনি জানান, কিছুদিন আগে এলাকায় ভূমি জরিপের সময় তার মায়ের সূত্রে পাওয়া জমি স্থানীয় ইসমাইল হোসেন নিজের নামে মাঠ পর্চা করে নেন। এ ঘটনায় তিনি উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে আপত্তি মামলা করলেও এর শুনানি হয়নি।
অভিযোগে বলা হয়, মামলা হলে একাধিকবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়, কিন্তু শুনানি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে হাসেম উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার খন্দকার তারবীরুল আলমের কাছে গেলে তিনি জানান, নোটিশের মাধ্যমে পরবর্তী শুনানির তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
আবু হাসেম তার লিখিত অভিযোগে আরও জানান, কোনো নোটিশ না দিয়ে তারবীরুল আলম ও সেটেলমেন্ট অফিসের চেইনম্যান আনন্দ কুমার এক লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ইসমাইল হোসেনের পক্ষে মামলা নিষ্পত্তি করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার খন্দকার তানবীরুল আলমকে।
চেইনম্যান আনন্দ কুমারকেও একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। কার্যালয়ে গিয়েও দেখা মেলেনি তার।
অভিযোগের বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আলমগীর হোসেন শেখ বলেন, ‘জেলা প্রশাসক কি জমির পর্চা দিতে পারবেন? ওখানে দরখাস্ত দিয়ে কী হবে? আমার কাছে দরখাস্ত দিলে বিষয়টি দেখব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন শতাধিক মামলার শুনানি হয়। এতে ভুলত্রুটি হতেই পারে, তবে অভিযোগের বিষয়ে কাগজপত্র না দেখে কিছু বলা যাবে না।’
ডিসি জহুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।