বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কামাল হত্যা: ১৭ দিনেও গ্রেপ্তার হননি প্রধান আসামি

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:১৪

কামালের ভাই ও মামলার বাদী ময়নুল হক বলেন, ‘এই মামলার প্রধান আসামিসহ বেশিরভাগ আসামিকেই এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিদের গ্রেপ্তারে তাদের তেমন কোনো তৎপরতাও নেই। এটা হতাশাজনক।’

সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হননি প্রধান আসামি আজিজুর রহমান সম্রাট। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা।

কামালের ভাই মইনুল হকের অভিযোগ, সরকারদলীয় নেতাদের যোগসাজশের কারণে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।

সিলেটের বড়বাজারে ৬ নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেলে আসা পাঁচজন কামালের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে আহত অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক কামালকে মৃত বলে জানান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই ময়নুল হক ৮ নভেম্বর রাতে বিমানবন্দর থানায় আজিজুর রহমান সম্রাটকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া আরও ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয় মামলায়।

আসামিদের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন আজিজুর রহমান সম্রাট, মো. হাফিজ, শাকিল আহমদ, মিশু আহমদ, কুটি মিয়া, মনা মিয়া, আব্দুল আহাদ, মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, আশরাফ সিদ্দকী ও রুহুল আমিন শাওন।

মামলার পর মিশু আহমদ, কুটি মিয়া ও মনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৯ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নগরের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিমান্ডে ৩ আসামি বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেসব বলা যাচ্ছে না।’

ওসি আরও বলেন, ‘মামলার প্রধান অভিযুক্তসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে, তবে বারবার স্থান পরিবর্তন করায় এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

এদিকে মামলার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ার পেছনে সরকারদলীয় নেতাদের যোগসাজশ দেখছেন নিহতের ভাই ও মামলার বাদী ময়নুল হক।

তিনি বলেন, ‘এই মামলার প্রধান আসামিসহ বেশিরভাগ আসামিকেই এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিদের গ্রেপ্তারে তাদের তেমন কোনো তৎপরতাও নেই। এটা হতাশাজনক।’

কামালের ভাই অভিযোগ করেন, ‘সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশের কারণে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’

কর্মসূচি নেই বিএনপির

আ ফ ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির গত কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কামাল হত্যার রাতেই ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিল থেকে মহানগরের রিকাবীবাজার ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

পরদিন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, কামাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শেষে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে, তবে ১৯ নভেম্বর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নীরব বিএনপি।নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা জানান, দলীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে কামাল খুন হননি; ব্যবসায়িক কারণে তিনি খুন হয়েছেন। তাই সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে আন্দোলন বা কর্মসূচি ঘোষণা করছেন না।জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এ ইস্যুতে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস নামে কামালদের একটি পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।

১৯ অক্টোবর ওই প্রতিষ্ঠান নিয়ে সম্রাটের সঙ্গে ঝামেলা হয় কামালের। তখন সম্রাটকে ছুরিকাঘাত করেন কামাল।

এ ঘটনায় সম্রাট কোতোয়ালি থানায় কামালসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই ঘটনার জেরেই কামাল খুন হয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।

এ বিভাগের আরো খবর