বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন এক ইন্টার্ন চিকিৎসক।
হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের সামনে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় ফরিদ ব্যাপারী নামের ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তবে ছুরিকাঘাতকারী তার ছেলে মো. শাকিল পলাতক। তারা শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
২৫তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে শজিমেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে হাসপাতালের ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা।
ফাহিমের বন্ধুদের বরাত দিয়ে শহরের ছিলিমপুর মেডিক্যাল ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রকিবুর হাসান জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ফাহিম বন্ধুদের সঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় ফরিদ ব্যাপারীর দোকানে ঝালমুড়ি খেতে যান তিনি।
একপর্যায়ে মুড়ি মাখানোকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ফাহিম। ওই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান।
এএসআই আরও বলেন, ছুরিকাঘাতে ফাহিমের পেটের নাড়ি বের হয়ে যায়। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, বর্তমানে ফাহিমের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। হাসপাতালের গেটের সামনের রাস্তায় তার সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
ফাহিমের সহপাঠী ও বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। আমরা চাই জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।’
বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম জানান, এ ঘটনায় শাকিলের বাবা ফরিদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তবে ছেলে পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।