ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের বাড়ি থেকে ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রী এলাকায় গাউছিয়া-বাঞ্ছারামপুর সড়কে বুধবার বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ আরও কয়েকজন নেতাকে বহনকারী গাড়িটিও ভাংচুর করা হয় বলে জানিয়েছে বিএনপি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের বাড়িতে যান বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেলে ফেরার পথে আড়াইহাজারে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হন তারা। ভাংচুর করা হয় বহরের গাড়ি।’
আড়াইহাজার পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী হকিস্টিক ও লাঠিসোটা হাতে হামলায় অংশ নেন। হামলায় আহত হন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কয়েকজন। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা ঢাকায় ফেরেন।’
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রামচন্দ্রী এলাকায় এক রিকশাচালকের সঙ্গে ছাত্রদলের গাড়িবহরের ঝামেলা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও রিকশাচালকরা গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর করে।’
ছাত্রলীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘আড়াইহাজার বাজারেও স্থানীয় রিকশা চালকরা ফের তাদের গাড়ি বহরে হামলা চালায়। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদককে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা যাওয়ার ব্যবস্থা করি।’
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল বলেন, ‘এখানে হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।’
সাংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।