নওগাঁয় ছাত্রলীগের মোটরসাইকেলবহরে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে জেলা যুবদলের সভাপতি ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ জনকে।
সদর মডেল থানায় বুধবার সকালে মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন শান্ত। এই মামলায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন ঝলককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসব নিশ্চত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান মাহিন।
আসামিদের মধ্যে আছেন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান ফারুক, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নূরে আলম মিঠু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেড এইচ খান মানিক, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান নিপু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম পবলু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের আন্তান মোল্লা ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী বলেন, ‘কলেজ ছাত্রলীগের ২৫-২৬ জন নেতা-কর্মী ১২টি বাইকে আস্তানমোল্লা ডিগ্রি কলেজের সামনে দিয়ে শহরের সরিষা হাটি মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের ওপর ৪টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। বিস্ফোরণে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোশারফ হোসেন শান্ত আহত হয়েছেন। তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ওসি ফয়সাল বলেন, ‘৪টির মধ্যে ২টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। আরও ২টি অবিস্ফোরিত অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় বুধবার সকালে আহত ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। নিজেরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা আমাদের দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় গতকাল রাতে।
‘আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে অংশ নিতে না পারেন, সে উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।’
এর আগে নওগাঁর মহাদেবপুরে গত সোমবার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মতবিনিময় সভাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ হতাহত হননি।