চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে ছিনিয়ে নেয়া দুই আসামির একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। সঙ্গে থাকা তার ভাইসহ আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরী থেকে বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার গভীর রাতে ফৌজদারহাট এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার হন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ আলী হোসেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফৌজদারহাট এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস থেকে মো. হানিফসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা পালিয়ে ভোলায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আর তাদের দেয়া তথ্যে বোয়ালখালী থেকে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এর আগে গত শনিবার গভীর রাতে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
নগর পুলিশ জানায়, সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালুরঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে হানিফ ও দেলোয়ার নামে দুজনকে ৫ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। তাদের কালুরঘাট ফাঁড়িতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রান্সজেন্ডারসহ শতাধিক লোককে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিদের ছিনিয়ে নেন হানিফের বোন নাজমা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে নাজমা গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হানিফ ওই এলাকায় মাদক পাচারকারী চক্রের মূলহোতাদের অন্যতম। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়ার পর তিনি এতদিন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন।
তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিনিয়ে নেয়া আরেক আসামি দেলোয়ার।
এদিকে শনিবারের ঘটনার পর চান্দগাঁও থানায় দুটি মামলা হয়।
পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে মামলাদুটি করে পুলিশ। তবে হামলার সময় পুলিশের গুলিতে নাজমার মৃত্যুর ঘটনায় আলাদা করে কোনো মামলা হয়নি।