২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ‘ওয়াকওভার’ দেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। সরকার ও পুলিশের উদ্দেশে বলেছেন, সবকিছুর জবাব নেবেন।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারমপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামে গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার নানার বাড়ির শোকসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে রুমিন বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর থেকে বিনা ভোটে নির্লজ্জের মতো ক্ষমতায় বসে আছেন। আপনারা মনে করেন এর জবাব দিতে হবে না। সবকিছুর হিসাব আমরা নেব।
‘আপনারা যেভাবে ২০১৪ ও '১৮ তে বিনা ভোটে লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসছেন। মনে কইরেন না ২০২৪ সালে সেই ওয়াকওভার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের সমুচিত জবাব দেবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘কেন এ কাজ করেছেন, সে জবাব আপনাদের দিতে হবে। আমাদের ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কেন মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছেন?'
নয়নের প্রাণহানির বিষয়ে রুমিন ফাহানা বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা নয়নকে লিফলেট বিতরণ করার কারণে বিনা দোষে, বিনা কারণে পাখির মতো গুলি করে হাসিনার পুলিশ লীগ হত্যা করেছে। এ বিচার বাঞ্ছারামুপরের মাটিতেই হবে।
‘পুলিশ ভাইয়েরা আপনারা সাবধান হয়ে যান। আমার দেশের আমার ভাইয়ের ওপরে গুলি চালাবেন। একটা একটা করে জবাব দিতে হবে।’
বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গত ১৪ বছরে বিনা দোষে হত্যার অভিযোগও আনেন বিএনপি নেত্রী। বলেন, ‘কেন আমার ভাইদের গুম করা হয়েছে। এই যে রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিচ্ছেন, পথে পথে পুলিশের তল্লাশি করাচ্ছেন, গণপরিবহন বন্ধ রাখছেন, সম্মেলনে মানুষের যাওয়া কি বন্ধ রাখতে পারছেন? যে যেভাবেই হোক সমাবেশস্থলে উপস্থিত মানুষ হচ্ছেন। একটা জনসমাবেশ দেখেন জনসমুদ্র।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক, ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা নয়নের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফলে লিফলেট বিতরণকালে ১৯ নভেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল কর্মী নয়ন নিহত হন।