প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের প্রক্রিয়ায় সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমুন্নয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে গণমাধ্যমের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সমুন্নয় সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের বিধান রাখা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-সিগারেট আমদানি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আইনটি যেন দ্রুত সংশোধন করা যায় সে জন্য স্বাস্থ্য এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নাগরিক সংগঠন ও গণমাধ্যমের মতবিনিময় করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
উন্নয়ন সমন্বয়ের উপস্থাপনায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন শক্তিশালীকরণের যে খসড়া করেছে তা খুবই যুগোপযোগী। এর ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বৈশ্বিক মানে উন্নীত হবে।
এতে বলা হয়, প্রস্তাবনা অনুসারে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা ডিএসএ বাতিল করা গেলে পাবলিক প্লেস ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারকারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ কমতে পারে। এ কারণে নেপাল, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের ৬৯টি দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ জন মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত রোগে মারা যাচ্চে। তাই অনতিবিলম্বে খসড়া আইনটি পাস করা জরুরি।
ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের মূল লক্ষ্য হলো কম বয়সী নাগরিকরা যেন নতুন করে তামাক ব্যবহার শুরু না করে এবং তামাক ব্যবহার করেন না এমন নাগরিকদের তামাকের প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়া। আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কিংবা কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই অমূলক।