যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ৫০ বছর বয়সী আসাদ যশোরের বেজপাড়ায় ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সোমবার বেলা ১১টার দিকে আসাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, আসাদুজ্জামান আসাদের বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডে। তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আগে তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি গরুর খামারসহ ব্যবসায়ে যুক্ত ছিলেন। আসাদ ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক।
আসাদের ছেলে আনিসুজ্জামান জানান, ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন আসাদ। সেখানে একটি দোকানে তিনি গরুর খাদ্যের জন্য টাকা জমা দিতে গিয়েছিলেন।
দোকান থেকে বের হতেই আসাদকে ঘিরে ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী খাবড়ি হাসান, চঞ্চল, বিপ্লব, লিঙ্কনসহ ৫/৬ জন। বুকের ডানপাশে ছুরিকাঘাত করা হলে আসাদ রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন তাকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
স্থানীয়রা আসাদকে উদ্ধার করে পাশের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আনিসুজ্জামানের দাবি তার বাবাকে হত্যায় ইন্দ্রজিত মুখার্জি নামে একজন কাস্টম কর্মকর্তা জড়িত। চট্টগ্রামে কর্মরত ইন্দ্রজিত আসাদের কাছে থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি আসাদকে হুমকি দেন। সেই বিরোধের জেরেই খুন বলে মনে করছেন স্বজনরা।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আসাদের ছোট ভাই সাইদুর রহমান বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি ৪ আসামির নাম উল্লেখ করেছেন। পুলিশ খাবড়ি হাসান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আসাদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।