রাজাকার-আলবদরের ছেলেরা আজ বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কান্দাপাড়া মজিবর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আজম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে চট্রগামে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন কুখ্যাত রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে। তিনি তার সেই যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার বাবাকে শহীদ বলতে চান। রাজাকার আলবদরের ছেলেরা আজ বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে। উদ্ভট কথাবার্তার মাধ্যমে তারা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়।’
আওয়ামী লীগ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে ২৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপিকে পরাজিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মির্জা আজম বলেন, ‘২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন। নির্বাচনের কথা বলে বিএনপি, আল বদর, আল শামস ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা মাঠে নেমেছে। তারা আন্দলন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। তাদের সেই কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি আমরাও ঘোষণা করবো। রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের পরাজিত করবো। আমরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক।’
দলীয় নেতাকর্মীদের সর্তক করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ক্ষমতায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনার এতো উন্নয়ন থাকতেও কেনো মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে। কারণ দলের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারী ও বিভ্রান্তিকারী আছে। তারা সেই উন্নয়নকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। আমাদের মধ্যে কিছু লোক চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী। তারা যেনো কমিটিতে আসতে না পারে, সে বিষয়ে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
মির্জা আজম বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের খুনি পুত্র তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান। তিনিই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন ছিলেন ঠাকুরকান্দি এলাকার রাজাকার। ৭১ সালের পর ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে তার জায়গা হয় নাই, ভারতে পালিয়ে ছিলেন। বিদেশে বসে তারেক রহমান যে ষড়যন্ত্র করেন, মির্জা রুহুল আমিনের পুত্র মির্জা ফখরুল তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা।
সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে ফজলুর রহমানকে সভাপতি ও আফাজ উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।