বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্মেলন: টেন্ডারবাজমুক্ত কমিটি চায় আ.লীগের তৃণমূল

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৩

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আহসানুল কবীর রিপন বলেন, ‘টেন্ডারবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্যসহ যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে, তাদের যেন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়। দলের দুর্দিনে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের নতুন কমিটিতে মূল্যায়ন করতে হবে।’

আট বছর পর লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে মঙ্গলবার। সম্মেলনের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহর। সাজ সাজ রব সবখানে। নেতৃত্বে আসছেন কারা- এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, নতুন কমিটিতে কোনো টেন্ডারবাজ যেন না থাকে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটিতে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন ও প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলন হয় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ। তখন গোলাম ফারুক পিঙ্কুকে সভাপতি ও নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। এক লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়ে সাতটি উপকমিটি কাজ করছে।

সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা ও নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার প্রচারণায় ব্যস্ততা সবস্তরে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনের কর্মযজ্ঞের মধ্যে চলছে পদের তদবির-লবিং। সভাপতি ও সম্পাদক পদ নিয়ে চলছে টানাটানি। প্রার্থী হয়েছেন অন্তত এক ডজন নেতা।

শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান সভাপতি মিঞা মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মিলন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম।

সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা পাটওয়ারী, জেলা জজ আদালতের পিপি জসিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ।

নেতৃত্বে আসছেন কারা এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় মুখর জেলার রাজনীতির মাঠ। উৎসাহের কমতি নেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝেও। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতকে মাঠে প্রতিহত করতে শক্তিশালী কমিটি গঠনের বিকল্প নেই। নারী নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে। লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল কবীর রিপন বলেন, ‘টেন্ডারবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্যসহ যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে, তাদের যেন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়।

‘দলের দুর্দিনে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের নতুন কমিটিতে মূল্যায়ন করতে হবে। তাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপি-জামায়াতের পরাজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল ও আনন্দিত। এই সম্মেলনে প্রবীণ-নবীনদের সমন্বয়ে একটি কমিটি হওয়া প্রয়োজন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি দেয়ার অনুরোধ।’

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ বলেন, ‘যেসব নেতা দলের বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিয়েছেন- এমন নেতৃত্ব আমরা চাই না। কেন্দ্রীয় নেতাদের আমাদের প্রতি আস্থা রয়েছে, তারা ত্যাগী ও সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করবেন।’

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূইয়া বলেন, ‘দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের পরাজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দলের প্রয়োজনে শীর্ষ পদে যাকেই বসানো হোক সবাই তা মেনে নেবেন।’

সম্মেলনে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হওয়ার আশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া গোলাম ফারুক পিংকু।

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘সম্মেলন ঘিরে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর নজর রাখা হয়েছে। পোশাক ও সাদাপোশাকে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর