বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘সরকারের সামনে এখন একটাই পথ খোলা আছে- পদত্যাগ করা। তারা ঠান্ডামাথায় চিন্তা করে যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে তত তাড়াতাড়ি এ দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই আলোচনার আয়োজন করে ‘অর্পণ বাংলাদেশ’।
দুদু বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই সরকারের সময় খুব বেশিদিন আছে। যদি আপনা থেকেই সম্মানের সঙ্গে এই সরকার চলে যায় তাহলে ভালো।
‘এই সরকারকে যেতেই হবে। প্রতারণা করে গুন্ডামি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে এটা ভাবা ঠিক হবে না। তাদের সামনে একটাই পথ আছে পদত্যাগ করা, পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া। নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করা। আগে থেকেই যদি তারা এই কাজটা করে তাহলে সম্মানজনক প্রস্থান হবে। আমরা কাউকে অসম্মান করতে চাই না। এখন সরকার সম্মান নিয়ে যাবে না অসম্মানিতভাবে হবে, সেটা তাদের চিন্তাভাবনা করা উচিত।’
দুদু বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। গত ৫০ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে এত খারাপ অবস্থায় কখনো এ দেশের মানুষ ছিল না। দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ছাড়া ৯৯ শতাংশ মানুষ কষ্টে আছে।
‘মানুষ শুধু যে অর্থ ও খাদ্যসংকটে আছে তা নয়। নিরাপত্তাসংকটেও আছে। মানুষ বাইরে বের হয়ে আর ঘরে ফিরতে পারবে তার নিশ্চয়তা নেই।
‘কাগজের সংকট, শিক্ষা উপকরণের সংকট, কৃষি উপকরণের সংকট, উৎপাদিত দ্রব্যমূল্যের সংকট- সর্বত্র কেবলই সংকট। শ্রমিকদের মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের বেতন দিচ্ছে না, ছাঁটাই করছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থাও ভালো না।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনও টের পেয়েছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে তাদের আশ্রিত তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও এ দেশে থাকতে পারবেন না। কেন থাকতে পারবেন না? বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তো ছিলেন। আওয়ামী লীগও ছিল। এখন এ প্রশ্ন উঠছে কেন? কারণ, এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এত অপকর্ম করেছেন যে তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আর পায়ের নিচে মাটি না থাকলে থাকবেন কীভাবে? এটাই বাস্তবতা।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিথিকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।