বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা বললেও দলটিকে বিশ্বাস করেন না আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার আশঙ্কা আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে যে সমাবেশ দলটি করতে চাইছে, সেখানে তারা ২০১৩-১৪ সালের মতোই নাশকতার পরিকল্পনা করছে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ তৈরি ও মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
নানক বলেন, ‘জাতি বিজয় দিবস অত্যন্ত উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরে বিজয়ের মাস উদযাপন করবে। বিএনপির উদ্দেশ্যটা হলো দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা, গোলযোগ সৃষ্টি করা। দেশের মানুষ কেমন আছে, কেমন থাকবে, কেমন রাখার দরকার, সেই বিষয় তাদের মাথায় কোনো দিন ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের তো সন্দেহ থেকেই যায় যে ২০১৪ সালে এই বিএনপি-জামায়াত এ দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, বাস পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে, রেললাইন উপড়ে ফেলেছে, রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেসব তারা আবার করতে চায়।
‘কাজেই সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। বিষধর সাপকে নিয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক, দেশবাসীও সতর্ক।’
নয়াপল্টনের বদলে অন্য কোথাও বিএনপির সমাবেশ করা উচিত বলেও মনে করেন নানক। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) চিৎকার করে বলছে, ১০ লক্ষ লোক জমায়েত করবে। কিন্তু সেটা করতে হলে তাদেরকে অবশ্যই ১০ লক্ষ লোক জমায়েত হতে পারে এমন জায়গায় যেতে হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে অর্থনীতিক অবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন, তখন বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, তাদের দুই দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা খালেদা জিয়া এবং তারেককে ফিরিয়ে আনার জন্য পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে।
‘দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির দেশের মানুষের প্রতি যদি কতর্ব্যবোধ, মমত্ববোধ থাকে, তাহলে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার কথা ছিল। পক্ষান্তরে দেখা যাচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পলায়নককারী তারেককে দেশে ফিরে আনাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সে জন্য তারা দেশের ভেতরে অস্থিতিশীলতার জন্য পরিকল্পনা করছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।