ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের পালানোর ঘটনায় এবার পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ডিআইজিকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সোমবার বিকেলে সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অডিট) মো. আমিনুল ইসলামকে। সদস্যসচিব করা হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম মেট্রো) মো. হাসানুজ্জামানকে। কমিটির সদস্যরা হলেন সিটিটিসির ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মেট্রো সাউথ) মো. আনিচুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার ঘটনার পরপর ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস), যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি), লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ও ডিএমপির সিআরওর অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার।
এ ছাড়া বিচারিক আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি গ্রেপ্তারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান চালাচ্ছে বলে সোমবার জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দুই আসামি রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের চোখমুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যান। দুজনই আনসার আল ইসলামের সদস্য। ঘটনার দিনই কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় কোতোয়ালি থানার পক্ষ থেকে। এটির মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগকে।