খাদ্যদ্রব্যের উর্ধ্বগতিতে বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে মেহেরপুরে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে কলাই। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কলাইতে দেখা দিয়েছে ফলন বিপর্যয়। সেকারনে হতাশ কলাই চাষিরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে কলাই চাষিরা ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। তবে বাজারদর ভালো থাকায় লোকসানের সম্ভাবনা কম।
মেহেরপুরের কৃষক, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় বাজারে সর্বস্তরের মানুষের কাছে ডাল ফসলের মধ্যে জনপ্রিয় কলাই। শুধু ডালের জন্যই নয়, কলাই দিয়ে তৈরি হয় শীতের পিঠা, কুমড়োবড়িসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার। কলাই রুটি শীতের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকাতে খাওয়া হয়।
এ বছর কলাইয়ের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে মণ প্রতি ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছরও কলাই বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
গাংনী উপজেলার অভয় নগর গ্রামের কলাই চাষি আবদুল ওয়াহেদ জানান, আমি চাষী মানুষ, চাষাবাদ করে সংসার চালাতে হয়। চাষীদের ঘরে ডাল আর চালের হিসেব মিলে গেলে বছরের সব হিসেব মিলে যায়। তখন খাবার নিয়ে চিন্তা করা লাগে না।
কলাই চাষ করা তুলনামূলকভাবে সহজ। আমার এ বছর দুই বিঘা কলাই ছিলো। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মণ কলাই পেয়েছি। যেখানে বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ পর্যন্ত কলাই পাওয়ার কথা।
মেহেরপুর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. সামসুল আলম জানান, শীতকাল শুরু হলেই জেলায় কলাইয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। বিশেষ করে কুমড়োবড়ি, কলাই রুটি ও ডালের জন্য এর চাহিদা বেশি। চলতি মৌসুমে ১৮২০ হেক্টর জমিতে কলাই চাষ হয়েছে। উৎপাদন কম হলেও বাড়তি দামের কারণে কৃষকের লস হয়নি। কারণ কলাই চাষে কৃষকের খুব একটা খরচ হয় না।