বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৮ জন গ্রেপ্তার হলেও ছিনিয়ে নেয়া ২ মাদক কারবারি অধরা

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৭

পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা করেছে। তবে হামলার সময় পুলিশের গুলিতে নাজমা নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে ছিনিয়ে নেয়া দুই মাদক কারবারিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে বাহিনীটি।

ঘটনার পর কালুরঘাট এলাকায় মাদক কারবারিদের ডেরায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ৮ জন হলেন রাব্বি ইসলাম রবিন ওরফে মনি (ট্রান্সজেন্ডার), ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদা (ট্রান্সজেন্ডার), মো. বাদশা ওরফে ববিতা (ট্রান্সজেন্ডার), আব্দুল জলিল, দিল মোহাম্মদ, আব্দুর রহমান, আকলিমা আক্তার আঁখি ও মো. ইব্রাহিম। তারা সবাই চান্দগাঁও থানার মৌলভীবাজার এলাকার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে আব্দুর রহমান ছাড়া বাকি সবাই পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া দুই মাদক কারবারির একজন হানিফের ভাড়া বাসার বাসিন্দা।

পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে পুলিশ দুটি মামলা করে। এর একটি পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায়। অন্যটি হানিফ ও দেলোয়ারকে আসামি করে মাদক মামলা।

হামলার মামলায় এজহারনামীয় ১৪ জন এবং অজ্ঞাত আরও ২১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে হামলার সময় পুলিশের গুলিতে নাজমা নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালুরঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে হানিফ ও দেলোয়ার নামে দুজনকে ৫ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। পরে তাদের কালুরঘাট ফাঁড়িতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রান্সজেন্ডারসহ শতাধিক লোককে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিদের ছিনিয়ে নেন হানিফের বোন নাজমা।

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন নাজমা। এর ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নাজমার মৃত্যুর বিষয়ে ওসি মাহিনুর বলেন, ‘আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার সময় নাজমা গুলিবিদ্ধ হয়। সুরতহালে তার মাথায় একটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। শরীরের আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’

হামলাকারীরা আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে দাবি করেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘তারা আসামি ছিনিয়ে নিতেই ফাঁড়িতে হামলা করে। হামলার সময় গুলি করাসহ সব ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করেছিল। এটা হামলার পর ফাঁড়ির অবস্থা দেখেই বুঝতে পারবেন।’

শনিবার রাতের হামলায় ফাঁড়ির ইনচার্জ রোকনুজ্জামানসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হলেও এখনও একজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান ওসি।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনসুর আলম পাপ্পী ও তার ভাই মোহাম্মদ আলম ববির নিয়ন্ত্রণেই চলে কালুরঘাট এলাকার মাদক পাচার সিন্ডিকেট। এই সেন্ডিকেটের অধীনেই কাজ করতেন হানিফ। পুলিশের হাত থেকে মাদক কারবারি ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ ও মাদকপাচার সিন্ডিকেটের মূল হোতা পাপ্পী ও ববিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন স্থানীয়রা।

রোববার কালুরঘাট সেতু এলাকা ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে অংশ নেয়া রাসেল নামের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কালুরঘাট এলাকায় মাদকের বিশাল একটি সিন্ডিকেট আছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার হাতে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে তারা। রীতিমতো এই এলাকাকে মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করে ব্রিজের ওপারের পাপ্পী আর ববি। তারা নদীর ওপার থেকে এসে এপারে মাদকের হাট বসিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর