দলে ফিরতে চান কুমিল্লা সিটি নির্বাচন করে বহিষ্কৃত নেতারা।
রোববার কুমিল্লার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় নেতাদের একাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারসহ অন্যান্য নেতা দাবি করেন, তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভুল করেছেন। তারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। তাই দলের বাইরে তারা কোথাও যেতে পারবেন না।
এ বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের কাছে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে নেতাদের একজন বলেন, ‘আশা করি, শিগগিরই আমাদের ভুল ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে আজ আন্দোলনের নতুন বসন্ত দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের একদল অতি উৎসাহী কর্মকর্তা আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমরা এসব হয়রানির তীব্র নিন্দা জানাই।’
দল থেকে বহিষ্কৃত নেতারা জানান, সারা দেশের মতো কুমিল্লার গণসমাবেশেও জনতার ঢল নামবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।
এ সময় তারা কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি গণসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশও করেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা বিএনপির সাবেক ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এফ এ বারী সেলিম, সাবেক কাউন্সিলর সেলিম খান, সদর দক্ষিণ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ আলম মজুমদার, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য নাসির উদ্দিন, কোহিনুর আক্তার কাকলি, আব্দুল্লাহ আল মোমেন ও মোস্তাফিজুর রহমান বকুলসহ আরও অনেকেই।
বহিষ্কৃত হয়েও আসন্ন সমাবেশের প্রচারণা চালাচ্ছে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু
এদিকে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েও সম্মেলনকে সফল করতে কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নগরীর ও সদর আসনের বিভিন্ন ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন।
রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সাক্কু বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের জন্যই নির্বাচন করেছি। তবুও আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছি।
‘আমি বিশ্বাস করি, দল আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে।’