আঞ্চলিক খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় বসছে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২২তম সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ১৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব ও জাতিসংঘের সমুদ্রভিত্তিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিশনের চেয়ারপারসন রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম নিউজবাংলাকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের ১৫ জন মন্ত্রী এই সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শেষ মুহূর্তে ঢাকা সফর বাতিল না করলে অংশগ্রহণকারী বিদেশি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সংখ্যা হতো ১৬ জন।’
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২৪ নভেম্বর আইওআরএ মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২২-২৩ নভেম্বর ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের (সিএসও) বৈঠক হবে।
মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে যাওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা হলেন- শ্রীলঙ্কার মোহাম্মদ উভায়েস মোহাম্মেদ আলী সাবরি, ইন্দোনেশিয়ার রেন্টো এলপি মার্সেদো, মরিশাসের এলান গানো, মোজাম্বিকের ভেরোনিকা নাতানিয়েল মাকামো দলোভো ও মাদাগাস্কারের জেনারেল ডেকর্পস দারমে।
অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- তাঞ্জানিয়ার মৎস্য ও সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী সুলেইমান মাসউদ মাকামে, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শোনসুকে তাকেই, থাইল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজাভাত ইসারাভাকদি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলসায়েঘ, ইয়েমেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আউসান আব্দুল্লাহ আল-আউদ, মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ খালিল, সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলী মোহাম্মদ ওমর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যানডিথ মাশেগো দেলামিনি।
সম্মেলনে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ চেইন, জ্বালানি, খাদ্য ও মুদ্রা নিরাপত্তা বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
এজেন্ডাভিত্তিক আলোচনায় ব্লু ইকোনমি, সমুদ্র নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তির হস্তান্তর, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাসহ বিভিন্ন বিষয় থাকবে।