নারায়ণগঞ্জ সদরে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর মারা গেছে এক কিশোর। তাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে বাবার করা মামলা গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাকে।
এসব তথ্য রোববার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা।
মৃত ১৪ বছরের রেদোয়ান আহমেদ রাজুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেপারীপাড়া এলাকায়। স্থানীয় একটি হোসিয়ারি কারখানায় তিনি কাজ করতেন।
ওসি আনিচুর জানান, গত ১৩ নভেম্বর বাড়িতে দগ্ধ হন রাজু। তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার মা লিপি বেগমের নামে শনিবার রাতে মামলা করেন বাবা আনোয়ার হোসেন। লিপিকে রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আনোয়ার বলেন, ‘৪ বছর আগে লিপির সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে। লিপি দুই ছেলে রাজু ও রাইয়ানকে নিয়ে বেপারীপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এলাকাবাসীর মাধ্যমে শুনেছি, আমার ছেলেকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে লিপি।’
রাজুর ভাই রাইয়ান বলেন, ‘ঘটনার রাতে এলাকার মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিলাম। আগুনে পোড়ার খবর পেয়ে ঘরে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হাসপাতালে যাই। এই ঘটনার পর থেকে মা কারও সঙ্গে কথা বলেন নাই। কী হয়েছে, কেন হয়েছে কিছুই আমরা জানতে পারি নাই।’
তবে লিপির বোন মিনু বেগম জানান, কারখানায় চাকরি চলে যাওয়ায় মা বকাঝকা করেছিলেন রাজুকে। এ কারণে আত্মহত্যা করতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছিলেন রাজু।