পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়ে ১৫ ডিসেম্বর নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।
রোববার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। এ জন্য ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়ে ২৫ অক্টোবর নতুন দিন ঠিক করে আদালত।
সেদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. শামছুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত বিচারক হাকিম মারুফ চৌধুরী নতুন তারিখ ঘোষণা দেন।
মামলার আসামিরা হলেন শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, শরীফুল হোসেন, মো. রুবেল, মো. নুরুজ্জামান, মো. সজীব, মো. নাসির, মো. মারুফ, আশরাফুল আলম, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুলাই ১৫-১৬ যুবক পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে ঘুরতে যান। তাদের মধ্যে থাকা সানি নামের বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ থাকায় রাতে স্থানীয়রা দোহার থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলকে খবর দেয়। তবে রাতে সানিকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
পরদিন সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। সুরতহাল শেষে বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওই দিন বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান দোহার থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়।