ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সিভিল এভিয়েশন, উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সব পক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ সময় আদালত সিটি করপোরেশনকে উদ্দেশ করে বলে, ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু মশা কেন নিধন সম্ভব হচ্ছে না।
বিমানবন্দরে মশা নিধন নিয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানির ধারাবাহিকতায় রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) পক্ষে শুনানি করেন সাইফুর রাশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। ওই রিটে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ রুল দেয় হাইকোর্ট।
রুলে শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুলটি বিচারাধীন। এর মধ্যে বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর, প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেসব খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ফেব্রুয়ারিতে ফের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা দিতে সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এ নির্দেশ মোতাবেক আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে গত ৩ এপ্রিল বিমানবন্দরের ভেতরে-বাইরে মশা ও লার্ভার ঘনত্ব নির্ণয়ের নির্দেশে ফের আদেশ দেয় আদালত। সে ধারাবাহিকতায় রোববার শুনানিকালে আদালত নতুন করে এ আদেশ দেয়।