এপারে বাগেরহাটের চিতলমারী ও ওপারে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া। মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির নাম মধুমতী।
শনিবার মধুমতী নদীতেই অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ।
নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে মধুমতীর দুপারে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। ২৫ বছর পর এই এলাকায় অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচ উপভোগ করতে বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলার সব বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুদের আগমনে নদীর দুই পার মিলনমেলায় পরিণত হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩টি গ্রুপে মোট ২৭টি নৌকা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ছাড়া ৩টি দলে নারীরাও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় গ্রুপ-এ থেকে প্রথমস্থান অধিকার করেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ার কালিপদ তালুকদারের নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে টুঙ্গিপাড়ার অংশপতি বৈরাগির নৌকা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে মাদারীপুর জেলার অমিত বৈদ্যর নৌকা।
গ্রুপ-বি থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার ভাই ভাই জলপরি নৌকা, দ্বিতীয় স্থান একই এলাকার জয় মা কালি নৌকা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে একই এলাকার মা দুর্গা নৌকা।
এ ছাড়া গ্রুপ-সি থেকে অংশ নেয়া নারী দলের মধ্যে প্রথম হয়েছে টুঙ্গিপাড়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে কোটালিপাড়ার নারী দল।
বাইচ শেষে সন্ধ্যায় প্রত্যেক গ্রুপের বিজয়ী দলকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দলকে ৬০ হাজার টাকা, তৃতীয় অবস্থানকারীকে ৪০ হাজার টাকাসহ বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।
এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রতিটি দলকেই ১০, ১৫ ও ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয়।
নৌকাবাইচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপির সহধর্মিণী রুপা চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, শেখ হেলালের সহকারী শেখ ফিরোজ-উল ইসলাম, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হকসহ অনেকেই।