ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে ২৬ নভেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে নৌ-শ্রমিকরা।
শনিবার নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পুরান ঢাকার বাংলাবাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি গুলিস্তান-পল্টন-বিজয়নগর শ্রম ভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক খলিলুর রহমান। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন নৌ-শ্রমিক নেতা আবু সাঈদ ড্রাইভার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের যুগ্ম সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, নৌ-শ্রমিক নেতা খায়ের উদ্দিন ড্রাইভার, নুর আলম মাস্টার, বাল্কহেড শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম, আবদুস সালাম মাস্টার, আইএমই ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর মিয়া, আব্দুর রহমান মাস্টার, হারুন অর রশিদ মাস্টার, নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আজিজুল হক মাস্টার, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মানিক শরীফ মাস্টার, নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিন্টু, মাহাবুব হক মাস্টার, মাঈনুল ইসলাম মানিক ড্রাইভার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নৌযান শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো গেজেটের মেয়াদ এক বছর ৫ মাস পার হলেও এখনও মালিক পক্ষ ও সরকার নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উত্থাপন হওয়ার পর মালিক-সরকার-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় একটি সভা ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে আর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকদের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সব স্তরের নৌযান শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে ২৬ নভেম্বর শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে।’