বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওয়া ভবনের চোরদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:৪৩

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান মানে হচ্ছে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতির বরপুত্র। আলী বাবার চল্লিশ চোরের বড় চোরের নাম আমি জানি না, কিন্তু কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোর কে? বলবে, তারেক জিয়া। হাওয়া ভবনের বড় চোর ও সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না।’

হাওয়া ভবনের চোরদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না বলে সতর্ক করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার দুপুরে উত্তর জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান মানে হচ্ছে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতির বরপুত্র। আলী বাবার চল্লিশ চোরের বড় চোরের নাম আমি জানি না, কিন্তু কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোর কে? বলবে, তারেক জিয়া। হাওয়া ভবনের বড় চোর ও সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় দিতে পারলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবেন। আর বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু নাকি বলেছেন, যদি তারা ক্ষমতায় যায়, পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। ওরা যদি আবার ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে সব মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। যারা মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে চায় তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না, তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সভাপতিত্ব করেনচট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আকবর আলী চৌধুরী, রেজাউল করিম রেজা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।

এর আগে সকালে তথ্যমন্ত্রী আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন।

সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা আতঙ্কে থাকেন। কারণ ২০১৩, '১৪ ও '১৫ সালে বাস-ট্রাক পুড়িয়েছিল বিএনপি। বাস-ট্রাক ও জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছিল তারা। সে জন্য মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেন। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট, সেটা তো প্রাইভেট অর্গানাইজেশন। সেখানে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা আছেন। সবাই মিলে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিজস্ব নানাবিধ কারণে।

চট্টগ্রামের সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এখানে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছিল। মাঠের তিন ভাগের এক ভাগ বাদ দিয়ে একটি মঞ্চ করেছিল। বাকি দুই ভাগের মধ্যেও অর্ধেক খালি ছিল। তারা যেভাবে বলেছিল আসলে সেই রকম মানুষ হয় নাই।

তিনি বলেন, পলোগ্রাউন্ডের কোনায় যে একটা কমিউনিটি হল আছে, সেখানে আগে ভ্যারাইটি শো হতো। সেই ভ্যারাইটি শোতে যে পরিমাণ মানুষ হতো তার চেয়ে একটু বেশি মানুষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলায়ও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর