গণতন্ত্রের জন্য সবাইকে রাস্তায় নামার পরামর্শ দিয়েছেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিষয়ে ঘরে ঘরে আলোচনা হওয়া উচিত। এবং সবার নেমে (রাস্তায়) যাওয়া উচিত। যাতে করে মানুষ সচেতন হয়। আমরা যদি মনে করি বসে থাকলে অধিকার ভোগ করব, এটা খুব ভুল কথা।’
‘সংবিধানের ৫০ বছর ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজক গণফোরাম।
গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
শনিবারের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাগরিকদের বঞ্চিত করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। গণতন্ত্র না থাকলে দেশে অসাধারণ ক্ষতি হবে।’
গণতন্ত্রের জন্য সবার রাস্তায় নেমে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘সরকার চায় না মানুষ মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সচেতন হোক। এ ব্যাপারে তারা চেপে ধরে থাকে। এ জন্য বিষয়টি প্রচারমাধ্যমে আনতে হবে, স্কুল-কলেজে মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।’
নিজ দলের নেতা-কর্মীসহ সরকারবিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সব সময় সক্রিয়ভাবে জনগণের পাশে থাকতে হবে। সব সময় কাজে লেগে থাকা দরকার। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হওয়া দরকার। স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়ে জানানো দরকার। আমরা যদি কাজে লেগে না থাকি, তাহলে অধিকার থেকে বঞ্চিত হব।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ ক্ষমতার মালিক এটা আমরা সংবিধানে দেখি। এটা শুধু কথার কথা না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের মালিক হতে হয়, আমরা যদি অধিকারের ব্যাপারে সচেতন না হই, সংঘবদ্ধভাবে কাজ না করতে থাকি, তাহলে সত্যিকার অর্থেই আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন এখানে সভা করছি, এটা জেলায় জেলায় করতে হবে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে হবে। তরুণ সমাজকে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামাতে হবে।’
বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনি জোট বাঁধা এই নেতা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করে। কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। টাকাপয়সা ও প্রভাব ব্যবহার করে জনগণকে যদি আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করি, নির্বাচনপদ্ধতিকে যদি আমরা ধ্বংস করি, তাহলে তখন দেশের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।’