কয়েক ঘন্টা বাদে কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হলেও ফুটবলের উত্তাপ আর উত্তেজনায় কাঁপছে সারা বিশ্ব। বিশ্ব ফুটবলপ্রেমীদের মতো পিছিয়ে নেই ফরিদপুরের বাসিন্দারাও। কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের আদলে ফরিদপুরেও তৈরি করা হয়েছে ৮টি স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামগুলো দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে অসংখ্য মানুষ।
বিশ্বকাপের উত্তাপ বাড়াতে ফরিদপুর পৌর এলাকার ভাজনডাঙ্গায় টিবি হাসপাতালের পাশে একটি মাঠে তৈরি করা হয়েছে ৮টি স্টেডিয়াম। কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের খেলাগুলো যে ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, সেই আদলেই তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়ামগুলো। এই উদ্যোগ নিয়েছেন কাতার প্রবাসী মাসুদুর রহমান।
দেড় মাস আগে মাসুদুর রহমান দেশে আসেন এবং নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে নিয়ে স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করেন। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলের পতাকা থাকবে মাঠে। খেলা চলাকালীন সময়ে বড় পর্দায় খেলাগুলো দেখানো হবে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে যারা দেখতে আসবেন তাদের জন্য ফ্রিতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
মাসুদুর রহমান বলেন, প্রথমে এই স্টেডিয়ামগুলোর নকশা জোগাড় করি। এরপর ভালোভাবে পর্যালোচনা করি। তারপর সিদ্ধান্ত নিই বাংলাদেশে আসবো। মনে হলো নিজে কাতারের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা না দেখে এরকম কিছু করি যাতে দেশের মানুষ সেখানে বসে খেলা দেখবে আর ভাববে কাতারের মাঠে বসেই খেলা দেখছে।
স্টেডিয়াম তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আলী আরশাদ। তিনি বলেন, মাসুদুর রহমান সর্ম্পকে আমার মামা হয়। মামা দেশে এসে এই ধরনের উদ্যোগের কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি ও আমার বন্ধুরা মামার সাথে কাজে লেগে পড়ি। ভাবতে ভালোই লাগছে এই ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে। পাশাপাশি অসহায় মানুষের জন্য মেডিকেল ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এস এম রুবেল বলেন, এই ধরনের ব্যতিক্রম উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কাতারে গিয়ে নয়, দেশের মাঠে বসেই কাতারে খেলা দেখার স্বপ্নপূরণ হবে। মাসুদুর রহমান নিজে কাতারে খেলা না দেখে আমাদের কথা চিন্তা করে দেশে এসে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অসাধারণ।