বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে পিরোজপুরের বিদ্যায়তন

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৫৯

প্রায় ৭০ শতাংশ কম শিক্ষক নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঠদান। শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়েও কুলাতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তায় পড়ছে।

পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কারিগরি বিষয়ে ২৯টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র আটজন। আর আটটি সাধারণ বিষয়ের ৪৬টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন। ১৩ জন টেকনিক্যাল স্ট্যাফের ১০ জনই নাই।

একেকজন শিক্ষক অতিরিক্ত ক্লাস নিয়েও কুলাতে পারছেন না।

১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুলের সঙ্গে কলেজ শাখা যুক্ত হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু এর পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ধুঁকতে থাকে শিক্ষক সংকটে।

একজন শিক্ষককে নিয়মিত ক্লাস নিতে হচ্ছে তিন থেকে চারটি করে। তার পরও সংকট কমছে না। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়েছে এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক কম থাকায় প্রতিদিনই প্রতিটা ক্লাসে শিক্ষকের আসার অপেক্ষায় থাকতে হয় তাদের। কোন শিক্ষক কখন ক্লাস নেবেন, সেটিও জানতে সমস্যা হয় মাঝে মাঝে।

নবম শ্রেণির ছাত্রী মনিকা আক্তার বলে, ‘আমাদের স্কুলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ক্লাস মিস যায়। স্যারদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, পরে ক্লাস নেওয়া হবে, অপেক্ষা করো।’

দশম শ্রেণির আরেক ছাত্র মো. শুভ বলে, ‘ক্লাস মিস হওয়া তো নতুন কিছু নয়। আমি এখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই এমনটা দেখছি। যেভাবে পড়াশোনায় আমাদের গ্যাপ (ফাঁকা) হচ্ছে, তাতে আমাদের পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা কষ্ট হয়ে যাবে। আমরা চাই দ্রুত শিক্ষক সংকট দূর হোক। প্রতিটি ক্লাসই আমরা করতে চাই।’

স্থানীয় একজন অভিভাবক মো. কবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছোট ছেলেকে টেকনিক্যাল স্কুলে দিয়েছি, ছেলেটি যেন একজন দক্ষ কারিগর হয়ে ওঠে, পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটি চাকরি বা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। তবে এখন প্রতিদিনই শুনি দু-একটা ক্লাস শেষে ছুটি হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমরা চিন্তিত। শিক্ষক সংকট দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।’

এই প্রতিষ্ঠানের ২৫ জন স্টাফের মধ্যে মাত্র আটজন স্টাফ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এর একাডেমিক কার্যক্রম। ফলে একদিকে স্বল্প জনবল, অন্যদিকে শিক্ষক সংকটে হিমশিম খাচ্ছেন এ প্রতিষ্ঠানপ্রধান।

পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফীন বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৭০ শতাংশ শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত আমাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাধুবী রায় বলেন, ‘টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সংকট সমাধানে একটি লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট সচিবের বরাবরে পাঠানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর