সিলেট জেলা ওলামা দলের সভাপতি নুরুল হকের কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় শুরু হওয়া সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর মহিলা দলের সভাপতি রোকসানা বেগম শাহনাজ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, জোহরের নামাজের পর থেকে সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুরু হবে তখন। এর আগে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন।
শনিবার সকালে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চের মাঝখানে বড় একটি চেয়ার রাখা হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্য।
এই চেয়ারের দুই পাশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতাদের চেয়ার রাখা হয়েছে।
আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানিয়েছেন, দুপুরের পর সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। তখন খালেদার জিয়ার চেয়ারটি ফাঁকা থাকবে। দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এই চেয়ার রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোট ৫৬ জন সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বলে জানান তিনি।
মঞ্চে টানানো ব্যানারে রয়েছে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ছবি।
বিএনপির সমাবেশের দিন সকাল থেকে পুরো সিলেট নগরে মোবাইলে ইন্টারেনেট ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন গ্রাহক।
এদিকে সমাবেশে বিশৃঙ্খলতা এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ শুক্রবার বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। নগরে ১৯টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আজ সাদাপোশাকে পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারটি মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে।’