বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা ভ্যাকসিন বাহকরা

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামিম মিয়া বলেন, ‘ভ্যাকসিন বাহকরা রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করেই দেশকে পোলিও মুক্তকরণসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন বহন করে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আসছে। অথচ এই ইটিআই পোর্টাররা আজও অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। নামমাত্র বেতন-ভাতায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে।’

নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সম্পর্ক নিবিড়। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য হারিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগে রয়েছেন। এতে মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য থাকছে না, তেমনি সংসার চালানোই দায় হয়ে যাচ্ছে। তবে এতে শুধু নিম্ন আয়ের পেশাজীবী নয়, মধ্য আয়ের পেশাজীবীরা এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে ফারুকী বাজার, আনন্দবাজার, বৌবাজার, কাউতলী বাজার, মেড্ডা বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিনি, ডাল, আটা ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। শুধু তা-ই নয়, শীত এলেও দাম কমেনি সবজির।

ডিম ও মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে। সরকার চিনির দাম কেজিতে ১০৮ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আর প্যাকেটজাত এক কেজি চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়; প্যাকেট আটার দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এ ছাড়া দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।

দাম বেড়েছে দেশি মসুরের ডালের। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়; যা এক সপ্তাহ আগেও ১১০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যেত। অন্যদিকে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় মসুর ডাল।

আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম এখন ৯২৫ টাকা।

শীতকাল এলেও বাজারে কমেনি সবজির দাম। আকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি শসার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টম্যাটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস চালকুমড়া ৫০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা।

এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পরিবার নিয়ে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে ভ্যাকসিন বাহকদের। শহরের পুরাতন কাচারি এলাকায় শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস সভাকক্ষে এক সম্মেলনে এমন মন্তব্য তুলে ধরা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রদোষ কান্তি দাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামিম মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভ্যাকসিন বাহক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বাবুল হোসেন তালুকদার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি রাজিব চন্দ্র দাস, সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি এম আব্দুল বাছেদ, জেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরশাদুল ইসলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামিম মিয়া বলেন, ‘ভ্যাকসিন বাহকরা রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করেই দেশকে পোলিও মুক্তকরণসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন বহন করে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আসছে। অথচ এই ইটিআই পোর্টাররা আজও অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। নামমাত্র বেতন-ভাতায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরশাদুল ইসলাম বলেন, ‘ইপিআই পোর্টাররা তাদের চাকরি সরকারীকরণে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও ইপিআই পোর্টারদের কান্নার শব্দ কেউ শোনে না।’

এ বিভাগের আরো খবর