বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার ১৪-১৫ বছরের অবৈধ শাসনে একদিকে রাজনৈতিক কাঠামোকে বিনষ্ট করেছে, অন্যদিকে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনই এখন দুঃসহ হয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এখন অসহনীয়। জ্বালানি তেলেরও মূল্য বাড়ানো হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছে। সামগ্রিক অর্থে দেশে এখন একটা দুঃসময় চলছে। এ জন্য দায়ী এই অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে জাতিকে আজ বিনষ্ট করে দিয়েছে। এ কারণেই আমরা আন্দোলন গড়ে তুলেছি।’
শুক্রবার রাতে সিলেটের হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় শনিবারের সমাবেশে যোগ দিতে তিনি বিমানযোগে সিলেট আসেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফখরুল আরও বলেন, ‘সরকার নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনই এ দেশের মানুষের এখন প্রধান দাবি।’
তিনি বলেন, সরকার আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে চার বছর ধরে আটক করে রেখেছে। দেশের জনপ্রিয় নেতা তারেক জিয়াকে তারা সাজা দিয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। তার পরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তারা জনগণের এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। আমাদের বিপন্ন করার চেষ্টা করছে। পুলিশ দিয়ে, গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হামলা করছে। তার পরও মানুষকে দমানো যাচ্ছে না। আপনারা দেখেছেন, মাদ্রাসা মাঠে আজকেই হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে কোনো নির্যাতন, কোনো ফ্যাসিবাদ টিকে থাকবে না। জনগণের বিজয় অবশ্যই হবে।’
শনিবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।