সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহীর প্রতিবেদক আনিসুজ্জামান। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে জানিয়ে রাজপাড়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে থানার সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন।
রাজপাড়া থানার পাশে হোটেল এক্স নামে ওই হোটেলে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাঞ্ছনার ঘটনাটি ঘটে বলে জানান আনিসুজ্জামান।
তিনি জানান, ওই হোটেলে দুটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এর আগে এই হোটেলে বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড ঘটেছিল। এ কারণে এক অভিভাবক আনিসুজ্জামানকে ফোন করে উদ্বেগ জানান। হোটেলটিতে কী অনুষ্ঠান চলছে তা দেখতে সকালে গিয়েছিলেন তিনি।
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আমি গিয়ে দেখি হোটেলের দোতলায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে নাচগানের অনুষ্ঠান চলছে। এর কিছু ছবি তুলে নিয়ে বের হচ্ছিলাম। তখন হোটেলকর্মীরা আমাকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে, ফোন থেকে ছবি ডিলিট করার চেষ্টা করা হয়।’
খবর পেয়ে সেখানে যান রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপনসহ কয়েকজন সাংবাদিক। তারা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ আনিসুজ্জামানকে পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার করেন।
তারা জানান, হোটেলকর্মীরা পুলিশের সামনেই আনিসুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পুলিশ তখন নির্বিকার ছিল। প্রকাশ্যেই আনিসুজ্জামানকে হোটেলের লোকজন হত্যার হুমকি দেয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সংবাদকর্মীরা হোটেলের সামনে জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের আটকের দাবি জানায়। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা বিকেলে রাজপাড়া থানার সামনে অবস্থান নেন, ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় মো. পারভেজ ও মো. অমিত নামের দুই যুবকের নামে থানায় মামলার আবেদন করেছেন সাংবাদিক আনিসুজ্জামান। ওই দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া ওসিকে প্রত্যাহারের যে দাবি জানানো হয়েছে সেটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’