গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শনিবার। সাত বছর পর এই সম্মেলন ঘিরে নগরজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়তে পদপ্রত্যাশী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের রং-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার ও তোরণে ছেয়ে গেছে অলিগলি।
কেন্দ্রীয় নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত কয়েক শ তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনস্থল রাজবাড়ি মাঠে চলছে নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ। জাঁকজমকপূর্ণ এই সম্মেলনকে মহাসম্মেলনে রূপ দিতে চাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে আহ্বায়ক করে আগেই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটি সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন তিনজন। তারা হলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বর্তমান সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন।
সাধারণ সম্পাদক পদে এক ডজন প্রার্থীর মধ্যে মাঠে প্রচারে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল, যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সহসভাপতি আফজাল হোসেন সরকার রিপন, আব্দুল হাদী শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হালিম সরকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান।
দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ২০২৩ সাল গাজীপুরের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। জাতীয় নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি প্রত্যাশা তাদের।
নেতাকর্মীদের দাবি, রাজপথে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন নেতাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হোক।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে পুরো নগরীতে উৎসবের আমেজ বইছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আমরা সম্মেলনকে মহাসম্মেলনে রূপ দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আসা এই নেতা বলেন, ‘সম্মেলন সফল করতে সবধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি, রাজবাড়ি মাঠে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে।’
২০১৫ সালে আজমত উল্লাহ খানকে সভাপতি এবং সদ্য বহিস্কৃত জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০১৬ সালে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন হয়। ওই কমিটিতে ৯ সহসভাপতি ও ৩ যুগ্ম সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পদে ২৩ এবং নির্বাহী সদস্য পদে ৩৪ জন ছিলেন।