ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জাকির হোসেনকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তাকে রিমান্ডে পেতে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক দুইদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাকির নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত ৮ নভেম্বর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।
ডা. জাকিরের বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের বনগ্রাম আবাসিক এলাকায়। তিনি ৩৮ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ২০১৯ সালে ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন। তবে তুজারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো স্থাপনা না থাকায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করা হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দিন ফকির জানান, গত ৮ নভেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত জাকির হাসপাতালে ছিলেন। পরদিন ভোর ৫টার দিকে তার ফোনে জাকিরের পাঠানো খুদেবার্তা আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার শাশুড়ি খুবই অসুস্থ। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে মানিকগঞ্জে বাড়িতে যেতে হচ্ছে।’
মোহসিন জানান, এরপর থেকে জাকিরের ফোন বন্ধ ছিল। একই খুদেবার্তা সহকর্মী ডা. মঈনউদ্দিন আহমেদ সেতুকেও পাঠান জাকির।
মোহসিন বলেন, ‘পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে তার (জাকিরের) স্ত্রী ডা. কলি ফোন করে জানান যে তিনি দুইদিন যাবত স্বামীকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছেন না। আর মোবাইলে চার্জ হচ্ছে না, দুইদিন তার ফোন বন্ধ থাকবে জানিয়ে নিখোঁজের আগে স্ত্রীকেও একটি ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। এসব জানার পর জাকিরের স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সে রাতে ভাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
‘আজ জানতে পারি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’