কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রায় দেড় যুগ পর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হলেও গঠন করা হয়নি কমিটি। ভোটে নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এখনও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার ডাকবাংলার মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল। পরে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বক্তব্য দেন।
বেলা সাড়ে ৩টায় শেষ হয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। বিকেল ৪টায় জেলা পরিষদের বাজিতপুর মিলনায়তনে হয় দ্বিতীয় অধিবেশন। সেখানে কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচন করার কথা থাকলেও ভোট আর হয়নি।
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের সম্মতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ওপর কমিটি ঘোষণার দায়িত্ব দেয়া হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম রসুল দৌলতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, কাজী মাজহারুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান শিবলী, পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, ২০০৫ সালে গোলাম রসুল দৌলত ও কবির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা যুবলীগ। এরপর নানা জটিলতায় কমিটি গঠন করার সুযোগ হয়নি। আজ প্রায় দেড় যুগ পরে উপজেলা যু্বলীগের কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবার সম্মতিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে নেতা-কর্মীরা তাদেরই বরণ করে নেবে।’
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বছির উদ্দিন রিপনও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।