ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত ব্যক্তি হলেন জালাল ফকির।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস ও সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব অনেকদিনের। এর জেরে গত ৩ দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকির বলেন, ‘বুধবার বিকেলে সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামানের সমর্থকেরা গিয়াসউদ্দিন তালুকদার নামে আমার এক লোকের হাতের কব্জি কেটে নিয়ে জখম করে।
‘তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। এর জেরে আজ সকালে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।’
চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান পাল্টা অভিযোগে বলেন, ‘বিরোধীপক্ষের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা ও বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। তারা আমার সমর্থক জালাল ফকিরকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
‘আমি ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই হাটকৃষ্ণপুর বাজার থেকে যে চাঁদা তোলা হতো, তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেই। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে চাঁদা তুলতে বাধা দিলেই সংঘর্ষ বাধাচ্ছে প্রতিপক্ষ।’
সদরপুর থানার ওসি জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে প্রাণহানির খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় উত্তেজনা আছে।