বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক জালিয়াতি মামলার অন্যতম হোতা পিকে হালদারসহ ছয় জনকে আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালত। এই মামলার তদন্ত শেষ করে দ্রুত সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শুরু হবে বলে দুই পক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার পি কে হালদার ও তার সহযোগী অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে বিচারক বিদ্যুৎ কুমার রায় ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কয়েক দফায় প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ইডি ও জেল হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা। শেষ দফায় ৫৬ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সকালে তাদেরকে আদালতে তোলা হয়।
দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক তাদের আবারও জেলে হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে প্রয়োজনে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিযুক্তদের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে থাকাকালীন অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি বা কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি।
তিনি বলেন, 'তদন্ত প্রক্রিয়া, গুটিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে ইডি।'
পি কে হালদারের আইনজীবী অভিজিৎ মান্না বলেন, 'মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। সেজন্য জেল হেফাজতের মেয়াদ কমিয়ে আনা হচ্ছে।'
বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে টাকা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের সুপারিশে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে আত্মগোপন করে থাকা পিকে হালদার সহ ৬ জনকে ১৪ মে গ্রেপ্তার করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।
তদন্তে নেমে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারে, পিকে হালদার জালিয়াত চক্র বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানিয়ে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে থাকছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, বহু ব্যাংকের এবং বিভিন্ন ব্যবসায় নিয়োগ করার প্রচুর সম্পত্তির নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশে পিকে হালদার জালিয়াত চক্রের অর্থ পাচারের হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা।