এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেয়ায় কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
বহিষ্কার দুই শিক্ষার্থী হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের সুমাইয়া বিনতে একরাম ও আনিকা তাবাসসুম।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম আরিফুল ইসলাম। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ মাহতাব।
গত ২৬ জানুয়ারি বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে একরাম থাপ্পড় দেন বলে প্রমাণ হয়।
এ ছাড়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাসসুম মীমের বিরুদ্ধেও অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অসদাচরণের বিষয়টিও প্রমাণ হয়।
এ ঘটনায় প্রক্টোরিয়াল বডির প্রতিবেদন ও ২৫ জানুয়ারির ডিসিপ্লিন বোর্ডের জরুরি সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একইদিন সিন্ডিকেটের সভায় দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে সুমাইয়াকে এক বছরের জন্য এবং আনিকা তাবাসসুমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
পরে এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। তবে ফল ঘোষণা স্থগিত রাখতে বলা হয়।
এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রায় দেয়।
রায়ের পর আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘কারণ দর্শানো ছাড়া বহিষ্কার করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। এখন তাদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণাতে কোনো বাধা নেই।’