বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণ হলেও দলটি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মতো সহিংস কর্মসূচিতে ফিরবে বলে আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই ধারণার কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটে জনগণ ফুঁসে ওঠেনি, বরং এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই মানবিক সংকটে যখন বিশ্বব্যাপী সব রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন সমন্বিত প্রয়াস চালাচ্ছে, তখন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে।
‘তাদের নেতৃবৃন্দ নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য উসকানি দিচ্ছে। এতেও তারা জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে। আমরা জানি, এরপরই বিএনপি এই ব্যর্থতা ঘোচাতে তাদের স্বভাবজাত সন্ত্রাসের পথে ফিরে যাবে।’
যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়ে দেন সড়ক পরিবতন ও সেতুমন্ত্রী।
অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই বিএনপি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এরপরও তারা ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টায় সারা দেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস চালায়।
‘বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য আবারও সেই সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সে সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে না।’
বিএনপি শাসনামলের চেয়ে দেশের মানুষ বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ভালো আছেন বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। জনগণও এটা জানে বলে ধারণা তার।
কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, তারা কোথায় আছে, আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিল। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সফল শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আর্থসামাজিক সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি রাষ্ট্র হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে।
‘তাই দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর, ঊষর, অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না। জনগণ বিএনপিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আর জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি।’
বিএনপি শাসনামালে জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন চলেছে বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ২১ আগস্টের মতো নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা করেছে। অথচ আজ তারা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে।’