হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো প্রকার প্রতারণা বা হয়রানি করলে এজেন্সিগুলোকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকালে ‘জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন ২০২২’এবং ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার’- এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যারা হয়রানি করবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে।’
৪১০ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে গত ৫ জুন ঢাকা ছাড়ে বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট। ছবি: নিউজবাংলা
হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আগামীতে যারা হজে যাবেন তাদের হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের সমস্ত নিয়ম কানুন এবং আইন সম্পর্কে জানা এবং মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘দেশকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করে পবিত্র ইসলামের শান্তিময় মহিমাকে জাগ্রত রাখার জন্য আমরা জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স কর্মসূচি গ্রহণ করেছি এবং আলেম ওলামাদেরকে সম্পৃক্ত করে প্রত্যেক এলাকায় কমিটি করে দেয়া হয়েছে যাতে কারও ছেলেমেয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয় তার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই শান্তির ধর্ম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। অথচ এই ধর্মকে কিছু জঙ্গিবাদের কারণে অপমানজনক কথা শুনতে হচ্ছে। আসুন, আমরা সকলে ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করে সমাজ থেকে অন্ধকার, অশিক্ষা, বিভেদ, হানাহানি, সন্ত্রাস, কুসংস্কার ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করি; ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিরোধ করি।’
প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছি। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গবেষণা কেন্দ্র থাকবে। ইসলাম ধর্মের মূল কথা মানুষ যেন ভালোভাবে জানতে পারে।
‘মানবসম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুরআনের শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লক্ষ লক্ষ শিশুকে কুরআন শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।’