লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদ্রাসা-ই-তাহফিজুল কোরআনের এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছাত্রের বাবার করা মামলায় বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৫ বছর বয়সী আবদুল ওয়াজের ও ২৬ বছরের আবদুর রশিদকে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘মাদ্রাসার সুপার আবদুল ওয়াজের ও শিক্ষক আবদুর রশিদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
‘এর আগে শিশু শিক্ষার্থী মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুর রশিদের হাতে একাধিকবার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ছাত্রদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ধাপাচাপা দিতে একাধিকবার শিশুটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন মাদ্রাসা সুপার আবদুল ওয়াজের।’
শিক্ষক আবদুর রশিদের নিপীড়নে মাদ্রাসা সুপার সহযোগিতা করতেন উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, ‘তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
নির্যাতনের অভিযোগ করা ছেলেটির একাধিক স্বজন জানান, সে মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। শিক্ষক আবদুর রশিদ নানা অজুহাতে ছেলেটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন। ভয়ে সে কাউকে কিছু বলেনি। বুধবার বিকেলে ওই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে বিষয়টি পরিবারকে জানায় সে।
গ্রেপ্তার মাদ্রাসা সুপার আবদুল ওয়াজের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রের মুখে নির্যাতনের ঘটনা শোনার পরই অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুর রশিদকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিই। এটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তার পরও ছাত্রের অভিভাবক আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।’