হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বঙ্গবন্ধুর কেনা জাহাজটিকে জিয়াউর রহমান প্রমোদতরি হিসেবে ব্যবহার করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেটাকে তিনি একটি প্রমোদতরি হিসেবে ব্যবহার করতেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন-২০২২’ ও ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণভবন প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা হজে পাঠানোর জন্য যে জাহাজ ক্রয় করেছিলেন, আপনারা শুনলে অবাক হবেন সেই জাহাজ, জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেটাকে তিনি একটি প্রমোদতরি হিসেবে ব্যবহার করতেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য।’
এ সময় নিজের হজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘১৯৮৫ সালে প্রথমবার হজে গিয়ে আমি দেখেছি চরম বিশৃঙ্খলা। সত্যি বলতে কী, আমি সব সময় সৌদি বাদশাহর নিমন্ত্রণে যেতাম, রয়েল গেস্ট হিসেবে। আমার থাকা, খাওয়া, যাতায়াত কোনো অসুবিধাই ছিল না। সব সৌদি সরকারই ব্যবস্থা করেছেন।’
ওই সময়ে হজযাত্রীদের দুঃখ, কষ্ট নিজ চোখে দেখেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে হেঁটে মিনায় যেতাম মানুষের অবস্থা দেখতে। স্বচক্ষে আমি দেখেছি, হজে কত সমস্যা হয় মানুষের। এমন ভয়াবহ অবস্থা আমি নিজের চোখে দেখেছি। যার কারণে আমার চেষ্টা ছিল, যখন আমি সরকার গঠন করেছি কিভাবে হাজিদের সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘কাজেই তাদের সেই কষ্ট, দুঃখ-দুর্দশা আমার চোখে দেখা। তাই সেগুলো কিভাবে দূর করা যায়, তার ব্যবস্থা আমরা নিই। ধীরে ধীরে উন্নত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। সৌদি সরকার সব সময় আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
কাস্টোডিয়ান অফ হলি মস্ক সৌদি বাদশাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর যখন উদ্যোগ নিই তখন থেকেই এ পর্যন্ত সবাই হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।’
দেশের হজযাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও সরকার নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।