বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানিকগঞ্জে পুড়ল ৬ দোকান

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৩৬

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাফিলতি নেই। কারেন্টের আগুন দ্রুত ছড়ায়।’

মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬টি দোকানঘর পুড়ে গেছে। তবে কোনো ব্যক্তি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্দিকনগর দরবার শরিফ এলাকায় বুধবার মধ্যরাত পৌনে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে বুধবার মধ্যরাত পৌনে ১২টার দিকে সিদ্দিকনগরের মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের চেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তৎক্ষণে সিদ্দিকনগর মার্কেটের ১৫টি দোকানের মধ্যে একটি মুদি দোকান, ফার্মেসি, টেইলার্স, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, সেলুন ও চায়ের দোকান পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বলা যাবে।

মোটরসাইকেল মেকানিক তাপস রায় বলেন, ‘পাশের মুদি দোকানের মিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।

কিন্তু ফায়ার সার্ভিস বেশি দেরিতে আসে। এতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। যদি তারা সময়মতো আসত, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। আমাদের যাদের দোকান পুড়েছে, তাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মুদি দোকানি আমিনুর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে সবাই চলে যায়। তারপর পৌনে ১২টার দিকে আগুনের খবর পাই। দোকানের ক্যাশে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিল।

‘দোকানের ভেতরে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালপত্র ছিল। এ ছাড়া সিদ্দিকনগর মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ের মালামালের বাকির খাতা ছিল। সব মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনের ঘটনায় আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার মতো বাকিরাও শেষ হয়ে গেল। আল্লাহ জানে, এখন কী করে সংসার চালাব।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাফলতি নেই।

‘কারণ কারেন্টের আগুন দ্রুত ছড়ায়। ফায়ার সার্ভিস সময়মতো পৌঁছানোর কারণে বাকি দোকানের কোনো ক্ষতি হয় নাই। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’

এ বিভাগের আরো খবর