বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার ৭ গুণ বেশি ডায়রিয়ার রোগী

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১২:২৯

শয্যা সীমিত হওয়ায় অনেককে বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। সিঁড়িতেও ঠাঁই নিতে হয়েছে অনেককে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের কক্ষের সামনে আছেন কেউ কেউ।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে শীতকালীন রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।

গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ভর্তি হয়েছে ৭ গুণ বেশি রোগী।

শয্যা সীমিত হওয়ায় অনেককে বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। সিঁড়িতেও ঠাঁই নিতে হয়েছে অনেককে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের কক্ষের সামনে আছেন কেউ কেউ।

জায়গা না পেয়ে বাড়ি চলে গেছে অনেকেই। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগী বেশি থাকলেও সংকট নেই স্যালাইন ও ওষুধের।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও নেই ডায়রিয়া ওয়ার্ড। রোগীদের সুবিধার্থে পুরাতন ভবনের নিচতলায় সিঁড়ির পাশে দুটি কক্ষে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে ধারণক্ষমতা ২০ জন।

গত ৭ দিনে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১৫ জন। এর মধ্যে বুধবার ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ১৪০ জন।

এ ছাড়া জরুরি বিভাগ ও আন্তর্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৩ শতাধিক রোগী।

একজন সিনিয়ার স্টাফ নার্স, দুজন শিক্ষানবিশ নার্স ও একজন স্বেচ্ছাসেবি রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রোজিনা খাতুনের মেয়ে তিন দিন থেকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি। তিনি বলেন, ‘ছোট মেয়েটার হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগে। তারপর শুরু হয় ডায়রিয়া। হাসপাতালে এসে প্রথমে বেড পায়নি। সিঁড়ির নিচে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এখন বেড পেয়েছি। ডাক্তার বলেছেন, আরও কয়েক দিন থাকতে হবে।’

শিশু বিশেষজ্ঞ মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, ডায়রিয়া থেকে প্রতিকার পেতে বাসি ও ঠান্ডা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। টয়লেট করার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। শিশুদের মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সকালে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ওই সময় শিশুদের ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। গরম কাপড় পরিধান করাতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘একদিকে জনবল সংকট, অন্যাদিকে ডায়রিয়া রোগীর চাপ। তাই সেবা দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর